মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি,জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথপুরের কলকলিয়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে ভিজিডি বিতরণ কার্যক্রমে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রনয়নে ইউপি সদস্যদের সম্পৃক্ত না রেখে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাসিম নিজের পছন্দের মানুষ দিয়ে তালিকা প্রনয়নের কাজ করাচ্ছেন এমন অভিয়োগ এনে ১৯ শে সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বঞ্চিত ইউপি সদস্য বৃন্দ । অভিযোগ পত্র থেকে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ২০১৮-২০২০ অর্থ বছরের ভিজিডি’র তালিকা প্রনয়নের জন্য উপজেলার ১ নং কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি পত্র প্রেরণ করা হয়।এই ভিজিডি’র তালিকা প্রনয়নের কার্যক্রম থেকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন সাজাদ, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ লিয়াকত হোসেন ও ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য জুবেলী বেগম এর নাম বাদ দিয়ে কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মোঃ আব্দুল হাসিম হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ভিজিডি বিতরণ কার্যক্রমের তালিকা নিজের পছন্দের লোক দিয়ে প্রনয়ন করাচ্ছেন। জানাযায়, সরকারীভাবে জগন্নাথপুর উপজেলায় বরাদ্দকৃত প্রতিটি ওয়ার্ডে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে ভিজিডি বিতরণ করার তালিকা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যদগন করার নিয়ম থাকলেও কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মোঃ আব্দুল হাশিম ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ইকবাল হোসেন সাজাদ, ২নং ওয়ার্ড সদস্য লিয়াকত হোসেন ও সংরক্ষিত ১,২ ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য জুবেলী বেগমকে নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হিসেবে সম্পৃক্ত না করে নিজের পছন্দের মানুষ দিয়ে তালিকা প্রনয়নের কাজ করছেন। এতে করে ওয়ার্ডের হতদরিদ্র জনসাধারণ সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাদেরকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ইকবাল হোসেন সাজাদ বলেন, কলকলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা চেয়ারম্যান আব্দুল হাশিমকে গত ৭ ই মার্চ ভিজিএফ এর চালসহ অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য রয়েছে। এই আক্রোশে চেয়ারম্যান আমাদের ওয়ার্ডের ভিজিডি’র তালিকা তিনি(চেয়ারম্যান) নিজের পছন্দের মানুষ দিয়ে তৈরী করে সামাজিকভাবে আমাদেরকে হেয় করার প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছেন। পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য মোছাঃ জুবেলী বেগম বলেন, চেয়ারম্যান আমার ওয়ার্ডের সকল কার্যক্রমে আমাকে সম্পৃক্ত না রেখে নিজের পছন্দের মানুষ দিয়ে কাজ করান। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে তিনি আমার সাথে অমানবিক আচরন করেন। এমতাবস্থায় দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে করে আমাদের ওয়ার্ডেট হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। বিগত ঈদুল আযহা উপলক্ষে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর চাল বিতরনের তালিকা প্রনয়নে আমাদের সম্পৃক্ত না করে নিজের পছন্দের লোক দিয়ে নামের তালিকা করেছিলেন। সেই সময়ও আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করেছিলাম। যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছিল। এ ব্যাপারে কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মোঃ আব্দুল হাশিম বলেন, ইকবাল হোসেন সাজ্জাদ,লিয়াকত হোসেন ও জুবেলী বেগম পরিষদের সদস্য হয়েও সর্বদা পরিষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় তাদেরকে বাদ দিয়ে ভিজিডি সুষ্ঠভাবে বিতরণ করতে তালিকা করা হচ্ছে। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে করা হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, কলকলিয়া ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বিগত ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত কলকলিয়ার ইউপি”র হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণেও তালিকা প্রনয়নে উল্লেখিত ওয়ার্ড সদস্যদের সম্পৃক্ত না করে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাসিম নিজের পছন্দের লোক দিয়ে নামের তালিকা প্রনয়ন করছেন।এমন অভিযোগ এনে এই সদস্যগন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
